বাতিল ১৫ লাখের মতো রেশন কার্ড! তাহলে কি আপনার কার্ডও বাতিল হল ? বড় সিদ্ধান্ত – জেনে নিন বিস্তারিত।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সম্প্রতি সরকার প্রায় ১৫ লাখ মানুষের ফ্রি রেশন পরিষেবা বাতিল করে দিয়েছে। আর এরপর থেকেই রাজ্যের সকল গরীব মানুষ বিপদে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার? আসলে সরকার মূলত জালিয়াতি বন্ধ করতে ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প উন্নত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কাদের কাদের রেশন কার্ড বাতিল করেছে সরকার ?

খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পকে আরো স্বচ্ছ করতে মধ্যপ্রদেশের সরকার খাদ্য সুরক্ষা আইনের (RSKY) অধীনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণের (Free Ration Scheme) প্রকল্পে স্বচ্ছতা আমার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। মূলত প্রকৃত দরিদ্র মানুষের কাছে খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে ও খাদ্য নিরাপত্তা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতেই এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।

ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার সাহায্যে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে

সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে মোট ১৫ লাখ মানুষের কার্ড বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত তো কেউ কেউ গত চার মাস ধরে রেশন কেন্দ্রে যাননি। এছাড়াও কিছু কিছু এমন মানুষ রয়েছে যাদের নাম জাল না নকল তাই তাদের নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় অনেক মানুষের নাম দুই জায়গায় পাওয়া গিয়েছে যা সিস্টেমের ক্রুটি ক্রুটি নির্দেশ করেছে।

প্রকৃত যোগ্যদের নাম তালিকায় যোগ করা হবে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন ও প্রকৃত যোগ্য সুবিধাভোগীদের নাম যোগ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে এখনো ৮৩ লাখ মানুষের ই-কেওয়াইসি বিচারাধীন যেগুলোর মধ্যে ৩ থেকে ৪ লাখ মানুষের নাম জাল বা নকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রকৃত সুবিধাভোগীরা রেশন পেতে চলেছেন।

ই-কেওয়াইসি হল রেশন কার্ডধারীদের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ

ই-কেওয়াইসি (EKYC) প্রক্রিয়া খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে স্বচ্ছতা এবং বাধাহীন বিতরণ নিশ্চিত করবে। এই প্রক্রিয়ায়, আধার-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক যাচাই করা (Free Ration Scheme) হবে যার মাধ্যমে শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিরাই রেশন পাবেন। শুধু তাই নয় এর মাধ্যমে দুর্নীতি কমে যাবে এবং রেশন ব্যবস্থায় জালিয়াতি কমানো যাবে।

ই-কেওয়াইসি করার শেষ তারিখ কবে ?

সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ই-কেওয়াইসি প্রচার ৩১ মে পর্যন্ত চালু থাকবে। এরপরই সকল নতুন যোগ্য ব্যক্তিদের নাম তালিকায় যোগ করা হবে। এতে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের খাদ্যশস্যের অধিকার ফিরে পাবে।

মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রতিমাসে রাজ্যে ২.৯০ লাখ টন খাদ্যশস্য বিতরণ করে। এর মধ্যে রয়েছে ১.৭৪ লাখ টন চাল ও ১.১৬ লাখ টন গম। যদিও গম সংগ্রহ করার পর রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের কাছে চালের কোটা কমিয়ে গোমের কোটা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।

সরকারের উদ্দেশ্য রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা হলেও যেসকল মানুষের নাম বাদ গিয়েছে তাদের কী অবস্থা হবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেক মানুষের পরিবারই এই রেশনের উপর নির্ভর করে আছে। তাই এই মুহূর্তে তাদের কী কী করণীয় সেটি নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।

জেনে নিন কীভাবে আপনি আপনার কার্ড চালু রাখবেন ও নাম নথিভুক্ত করবেন

সরকার জানিয়েছে যদি ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয় তবে নতুন যোগ্য সুবিধাভোগীরা তাঁদের খাদ্যশস্য পাবেন। কিন্তু যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তারা এই মুহূর্তে কী করবেন বা কী পদক্ষেপ নেবেন সেটি নিয়ে কিছুই জানায়নি সরকার।

যদিও মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই নতুন পদক্ষেপ খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পে নতুন পরিবর্তন এনেছে ও এতে রেশন ব্যবস্থা আরো স্বচ্ছ, দুর্নীতি মুক্ত ও প্রকৃত সুবিধা ভোগীদের জন্য আরো সুবিধাজনক হবে। তবে, সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং জনসাধারণের এই নতুন সুযোগ কতটা কার্যকর হবে সেটি ধীরে ধীরে বোঝা যাবে।

সরকারি হোস্টেলে কর্মী নিয়োগ, অষ্টম শ্রেণি পাশে আবেদন করুন। 

wbtak.com-এ আপনাকে স্বাগতম , চাকরি ও প্রকল্প কিংবা স্কলারশিপের আপডেট পেতে ফলো করুন WBTAK.com