পশ্চিমবঙ্গসহ ১২টি রাজ্যে ভোটারদের SIR ফর্ম বিতরণ এবং সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। BLOরা প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে গিয়ে এই ফর্ম পৌঁছে দিচ্ছে। ভোটাররা ফর্মটি পূরণ করে বিবিএলও-র কাছে জমা দিতে হবে। এই কাজ ডিসেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
যদি কোনো ভোটার সময়মতো ফর্ম না জমা দেন? তাহলে তাঁর নাম কি চিরকালের জন্য ভোটার তালিকা থেকে মুছে যাবে? এমন প্রশ্ন নিয়ে ভোটাররা চিন্তায় আছেন। অনেকে পুরো পরিবার নিয়ে অন্য রাজ্যে বা বিদেশে কাজ করছেন। কিংবা পরিযায়ী শ্রমিকরা এখন বাড়ি থেকে দূরে। তারা ফর্ম জমা দিতে না পারলে কী করবেন? এসবের উত্তর দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত প্রধান নির্বাচনী অফিসার অরিন্দম নিয়োগী।
পশ্চিমবঙ্গে ফর্ম বিতরণ শুরু হয়েছে নভেম্বরের চার তারিখ থেকে। এটা চলবে ডিসেম্বরের চার তারিখ, ২০২৫ পর্যন্ত। এই সময়ে ২০২৫-এর ভোটার তালিকায় থাকা সবাইকে বোলোরা বাড়ি বাড়ি ফর্ম দিয়ে যাবেন। চার ডিসেম্বরের মধ্যে পূরণকৃত ফর্ম সংগ্রহ করে বোলোরা অনলাইনে জমা দেবেন। তারপর নির্বাচন কমিশন নয় ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।
SIR Latest Update 2025
ফর্ম জমা দেওয়ায় দেরি হলে বা অনলাইন-অফলাইনে সময়মতো না দিলে নাম খসড়া তালিকায় উঠবে না, বলেছেন অরিন্দম নিয়োগী। তবে চাইলে পরে নাম যোগ করা যাবে। নয় ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে যাচাই করাতে হবে। তাহলে সেই নাম সাত ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর চূড়ান্ত তালিকায় আসবে।
প্রধান নির্বাচনী অফিসার জানিয়েছেন, যারা সময়মতো অনলাইন বা অফলাইনে ফর্ম জমা দেবেন, তাদের কাজ সহজ হবে। তাই সব ভোটারকে ফর্ম পূরণ করা উচিত। নির্বাচন কমিশন সারা বছর ভোটার তালিকায় নাম যোগের কাজ চালিয়ে যায়। চলমান সংশোধন প্রক্রিয়ায় উপযুক্ত নথি দিয়ে নাম তোলা যায় এবং কার্ড পাওয়া যায়। কিন্তু নয় ডিসেম্বরের মধ্যে ফর্ম জমা দিলে সাত ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর চূড়ান্ত তালিকায় নাম আসবে এবং পরের নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে।
অফলাইন ছাড়াও অনলাইনে ফর্ম জমা দেওয়া সম্ভব। ভোটার সার্ভিস পোর্টালে গিয়ে ভোটার নম্বর, ইমেইল বা মোবাইল দিয়ে রেজিস্টার করুন। তারপর রেজিস্টার্ড মোবাইলে লগইন করুন। ‘ফিল এনুমারেশন ফর্ম’ অপশনে ক্লিক করলে ফর্ম খুলবে। ভোটার কার্ড নম্বর এবং রাজ্য উল্লেখ করে বাড়ি বসে বা পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে পূরণ করুন। তবে অনলাইনে করতে এপিক এবং আধার কার্ডের নামের বানান মিলতে হবে। ভোটার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকাও জরুরি।