রেল ব্যবস্থা আমাদর দেশের পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। যার ফলে দেশের প্রতিটি জায়গায়ই রেল ব্যবস্থা পৌঁছে গিয়েছে।
গত দশ বছর ধরে দেশে যেমন ট্রেনের রুট বেড়েছে তেমন বন্দে ভারত, অমৃত ভারত, দুরন্ত এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেস এগুলোর মতো অনেক নতুন নতুন ট্রেন চালুও হয়েছে। ইত্যাদি। কিন্তু এতকিছুর পর এবার খবর পাওয়া যাচ্ছে যে ট্রেনের ভাড়া বাড়তে চলেছে।
এসি কোচে নিয়ে আসা হচ্ছে ‘ডায়নামিক ফেয়ার’ ব্যবস্থা (Ticket Prices)
রেল পরিষেবা দেশের গরীব এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য একটি সহজ ও সাশ্রয়ী পরিষেবা। কিন্তু রেলের কোষাগারের হাল একদমই ভালো নয়। অনেক চেষ্টা করেও কোষাগারের হাল ফেরানো যাচ্ছেনা। আর এরজন্যই এই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার।
সূত্র মতে জানা গিয়েছে এবার থেকে ট্রেনের এসি কোচেই লাগানো হবে ‘ডায়নামিক ফেয়ার’। মানে ট্রেনের প্রতি ১০% আসন সংরক্ষণ হলেই যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধি পেতে থাকবে (Ticket Prices)।
গতকাল ট্রেনের স্ট্যান্ডিং কমিটি এই বিষয় নিয়েই আলাপ করেছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছর থেকেই রেলের অপারেটিং পরিমাণ ৯৮% এর বেশি থাকছে। মানে রেল কতৃপক্ষ যদি ১০০ টাকা আয় করে তাহলে তাদের খরচ হয়ে যায় ৯৮ টাকার বেশি। এরজন্যই যাত্রীদের ভাড়া বাড়ানোর দাবি করেছে কমিটি।
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে ৫০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করল, জানুন কীভাবে করা যাবে আবেদন ?
শুধু তাই নয় এসি ও নন এসি কোচের ভাড়ার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও জেনারেল কোচের ভাড়া মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যেই থাকবে বলে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে এখন কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা ও পছন্দ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আগে মধ্যবিত্তদের পছন্দ ছিল অসংরক্ষিত ও নন-এসি। কিন্ত এখন তারা বেশিরভাগ থার্ড এসি কোচের টিকিট কাটতে পছন্দ করেন। যদি ভাড়া বাড়ানো হয় তবে মধ্যবিত্তের পকেটে কিন্তু টান পড়বে।
রাজস্ব বাড়াতেই রেলের এই নতুন সিদ্ধান্ত
এগুলো কথা মাথায় রেখেই রেলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জানিয়েছে যে কম আয়ের যাত্রীদের কথা ভেবেই রাজস্ব বাড়ানো হবে। এছাড়া এসি ক্লাস ও প্রিমিয়াম ট্রেনের ডায়নামিক প্রাইসিং মডেল বসানো হবে। অন্যদিকে নন-ফেয়ার রেভিনিউর ব্যবস্থাও করা হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ ও ২০২২ সাল থেকে ট্রেনের ভাড়া অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সাবাবার্ন সার্ভিস ও নন-এসিতে মাত্র ৩০-৩৯% ভাড়াই রিকভার করা গিয়েছে। অন্যদিকে এসি কচে মাত্র ৩.৫% রিকভার হয়েছে। এরজন্য এসি কোচে ‘ডায়নামিক প্রাইসিং মডেল’ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
২০০০ টাকার নোট কি বাতিল হবে ? বড় আপডেট রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে থেকে।