পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন কলকাতার নিউটাউনে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের (TATA TCS) এর নতুন অফিস ক্যাম্পাস খোলা হবে। এটি শুরু হলে প্রায় ২৫,০০০ এর মতো মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবের ২০ একর জমিতে এই অত্যাধুনিক ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। সম্প্রতি নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA) TCS কে এই জমি হস্তান্তর করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন এই উদ্যোগটি বাংলা এবং রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক বড় মাইলফলক হতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়েছেন এই প্রকল্পটি মূলত দুই ধাপে তৈরি করা হবে। প্রথম ধাপে ৯ লক্ষ বর্গফুট জায়গাজুড়ে তৈরি করা হবে একটি ১১ তলা অফিস ভবন, এই ধাপে ৫,০০০ চাকরির সুযোগ তৈরি করা হবে। পরের ধাপে প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি, যেখানে ২০,০০০ জনের মতো মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে TCS- এর ক্যাম্পাস হবে ২৪ লাখ বর্গফুটের, যেখানে প্রায় ২৫,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
নিউটাউনকে কেন বেছে নেওয়া হল?
নিউটাউন এখন বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কেন্দ্রবিন্দু কারণ বেশ কয়েক বছর ধরেই এখানে অনেক বড় বড় সংস্থা বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বিগত তিন বছর ধরে নিউটাউনে ৩০ টির মতো তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় নিউটাউনের পরিবেশ, আধুনিক পরিকাঠামো, এবং দ্রুত সংযোগের সুবিধা ইত্যাদি সবসময়ই বড় বড় সংস্থাগুলোকে আকৃষ্ট করে।
কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স প্ল্যাটফর্মে এই প্রকল্পের বিষয়ে জানিয়ে লিখেছেন, “যারা বাংলাকে বারবার ছোটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে, যারা আমাদের উন্নয়নকে অবজ্ঞা করেছে, তাদের জন্য এটি বড় জবাব। বাংলা এখন উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং এক নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে। এছাড়াও তিনি বলেছেন, বেঙ্গল মিনস বিজনেস (Bengal Means Business)। আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করি।”
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে ৫০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করল, জানুন কীভাবে করা যাবে আবেদন ?
TCS-এর এই ক্যাম্পাস বাংলার অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে কারণ এটি সাধারণ মানুষের জন্য শুধু চাকরির সুযোগ তৈরি করবে না, বরং এটি নিউটাউনের রিয়েল এস্টেট, হোটেল, পরিবহন, ক্যাফে, রিটেল ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সেক্টরে পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এছাড়াও এই বড় আইটি প্রকল্প রাজ্যের আইটি রপ্তানিও বাড়িয়ে তুলবে।
শুধু তাই নয় এই প্রকল্পটি শুরু হলে রাজ্যের হাজার হাজার তরুণ- তরুণীরা নিজের রাজ্যেই কাজের সুযোগ পাবেন। তাদেরকে আর বাইরে কাজ খুঁজতে যেতে হবেনা। তাই এই প্রকল্পটি রাজ্যের আইটি খাতের জন্য একটি বড় গেম চেঞ্জার হতে চলেছে।
এছাড়াও এই উদ্যোগটি বাংলার উন্নয়নকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। তরুণ প্রজন্মকে নতুন পথ দেখাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে রাজ্য সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাত সম্প্রসারণ করার জন্য কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে এবার আর বাংলার উন্নয়নকে কেউ থামাতে পারবেনা।
তাহলে কি এসির জন্য নতুন রিমোট কিনতে হবে ? কী বলছে সরকারের নতুন নিয়ম ?