রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু হতে চলেছে। জানা গিয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নতুন করে শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পর্ষদ তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই বিষয় নিয়ে একটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ই-টেন্ডার প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে পরীক্ষার সময় তারা ফ্রিস্কিং, বায়োমেট্রিক যাচাই এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে।
পর্ষদ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে দীর্ঘ দুবছর পর প্রাথমিক পর্ষদ আবারো টেট পরীক্ষা আয়োজন করতে চলেছে। এবার এই ই-টেন্ডারেই সেটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন আপাতত স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগ করার জন্যই টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে কারণ সরকারি তথ্য বলছে রাজ্যে এখন প্রায় তিন হাজারের মতো স্পেশ্যাল এডুকেটরের পদ খালি আছে। সেজন্যই এই পদগুলোতে নিয়োগ করার জন্য তাড়াতাড়ি টেট আয়োজন করা হবে।
এছাড়া আগামী আগস্ট মাসে ডিএলএড (D.El.Ed) পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং সেই পরীক্ষা ভালোমত পরিচালনা করার জন্য সরকার বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিতে চলেছে বলে জানিয়ে দিয়েছে। পরীক্ষার সময় বাইরের (Tet News) পরিবেশ দেখভাল করবে পুলিশ ও ভেতরের পরিবেশ রক্ষা করবে এই বেসরকারি সংস্থা।
খুব শীঘ্রই নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে
আদালত পর্ষদকে দ্রুত স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগ করতে বলেছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও এই নির্দেশটি ওবিসি সংরক্ষণ আইনি জটে আটকে রয়েছে। রাজ্য সরকার যখনই সবুজ সংকেত দেবে তখনই শুরু হয়ে যাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থাকে এই পরীক্ষার নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেওয়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে। অনেকের বক্তব্য রাজ্য সরকারের পুলিশ, র্যাফ ও সিভিক ভলান্টিয়ার থাকার পরও কেন সরকার বেসরকারি সংস্থার উপর ভরসা করছে। এছাড়া শিক্ষকমহলের অনেকেই দাবি করেছে এই পরীক্ষার নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর নেওয়া উচিত।
এদিকে পুরনো টেটের ফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া টেটের ফল (Tet News) এখনো প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে ২০২২ সালের ফল প্রকাশ হলেও শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ হয়নি এখনো। এরজন্যও শিক্ষকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যদিও পর্ষদ জানিয়েছে ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্যার জন্যই এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে দেরি হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শিক্ষকমহল
রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, “একটার পর একটা পরীক্ষা হচ্ছে, কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে না। এতে পরীক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।”
এগুলো থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই নতুন নিয়োগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেবে। ইতিমধ্যেই স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগ এবং ডিএলএড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে পর্ষদ। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি কবে বির হবে বা কবে থেকে আবেদন করা যাবে সেটি এখনো জানা যায়নি।যদি আপনি শিক্ষক হতে চান তাহলে এখনই প্রস্তুতি শুরু করে দিন আর সবসময় পর্ষদের ওয়েবসাইটে চেক করতে থাকুন আপডেটের জন্য।
বর্ষায় স্পেশাল প্যাকেজে বাড়ানো হচ্ছে ফ্রি রেশনের পরিমাণ! আর সাথে কি কি থাকছে দেখুন।
