Primary Recruitment High Court Update -প্রাইমারির ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি নিয়ে টানাটানি! SSC-র পথেই কি হাঁটছে হাইকোর্ট ?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Primary Recruitment High Court Update –SSC দুর্নীতির কারণে ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালে এসএসসির সমগ্র প্যানেল বাতিল করেছে হাইকোর্ট। ২৫ হাজার ৭৫৩ জন হারিয়েছেন চাকরি। এবার প্রশ্ন উঠলো ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট নিয়ে। সিবিআই এর পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কথা জানানো হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সেই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। এসএসসির মতো প্রাথমিকেও টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি চলেছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্ট জমা করে (Primary Recruitment High Court Update) সিবিআই আরো জানিয়েছে, প্রাইমারিতে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অন্তরালে যোগ্যদের চাকরি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে। ডিএলএড কলেজগুলির ওপর ভর করে এই চাকরি বিক্রির চক্র চলছে।

বিচারপতি মান্থার এজলাসে রিপোর্ট পেশছে সিবিআই। রিপোর্টে প্রাইমারি নিয়োগে দুর্নীতিতে মূল চক্রি হিসেবে উঠে এসেছে অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশন (ABTTAA)-এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ধৃত তাপস মণ্ডলের নাম।

সিবিআই এর দাবি, বহু কলেজের মালিকানা তাঁর অধীনে থাকার কারণে মোটা টাকার বিনিময়ে টেট পরীক্ষায় ফেল করা পরীক্ষার্থীদের কাছে চাকরি বিক্রি করেছেন তাপস মন্ডল। মোট ৪ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এজেন্ট মারফত চাকরিপ্রার্থীদের থেকে নিয়েছেন তাপস মণ্ডল।

(Primary Recruitment High Court Update)

আদালতে সিবিআই আরও দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে একত্রিত হয়ে চাকরি বিক্রিতে নিযুক্ত ছিলেন তাপস। সিবিআই তদন্তে চাকরি বিক্রির পেছনে তাপস এবং কুন্তলের যোগসূত্র মিলেছে বলে খবর।

সিবিআই আরও জানায়, পরীক্ষার আগেই বিক্রি হয় চাকরি। যারা টাকা দিয়েছিলেন তাদের সাদা খাতা জমা দেওয়ার কথা বলেছিল (Primary Recruitment High Court Update) তাপস কুন্তলরা। তাই সাদা খাতা জমা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন বেশ কিছু পরীক্ষার্থী। রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পাশ করার পর যে ৩২ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ করা হয় তাদের অনেকেই চাকরি পেয়েছেন টাকার বিনিময়ে।

রাজ্য প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের পক্ষে প্যানেল থেকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করা সম্ভব কিনা তার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি মান্থা। তা যদি না হয় তাহলে এসএসসির মত ২০১৪ সালের ৩২ হাজার জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে কিন্তু সংশয় থেকে যাচ্ছে।

সমগ্র প্যানেল যদি বাতিল করে দেওয়া হয় হাইকোর্টের পক্ষ থেকে, তাহলে রীতিমত পথে বসবেন এই সকল শিক্ষকরা। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংসদের কাছে এই বিষয়ে জবাব চেয়েছে আদালত।

নতুন চাকরির খবর – উচ্চমাধ্যমিক পাশে LDC ও DEO পদে কর্মী নিয়োগ, মোট শূন্যপদ ৩৭১২টি