Dearness allowance (DA) আদায়ে নয়া কৌশল রাজ্য সরকারি কর্মীদের! বকেয়া মেটাতে বাধ্য হতে পারে সরকার।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের Dearness allowance (DA) নিয়ে সমস্যা বহুদিনের। কবে রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙবে এবং এটি মীমাংসা হবে তাও এখনো রয়েছে দ্বন্দ্বে। বকেয়া ডি এর জন্য এখনো বেশ উদ্বিগ্নের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তথ্য অনুযায়ী শেষ ২০১৫ সালে শেষ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ভাঁড়ার পূরণ হয়েছিল। প্রায় আজ থেকে সাত বছর আগে সেটিই ছিল শেষ। এরপর কর্মীরা আদালত থেকে রাজপথ বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করলেও মেলেনি কোন উপায়।
২০২২ এর শেষের দিকে শুভেন্দু অধিকারী একটি পোস্টে লেখেন, এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিয়ে (Dearness allowance) মেটাবে রাজ্য সরকার। আর এই পোস্ট নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। অনেকে মনে করছেন আগামী 16ই জানুয়ারি দিয়ে মামলার শুনানি রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিকে যাবে মনে করেই এমন মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। তবে তার জন্য এখনো অপেক্ষা করতে হবে ওই দিনটি পর্যন্ত।
ব্যাংকে লকার থাকলে এক্ষুনি দেখে নিন, RBI-এর তরফ থেকে জারি হল নয়া নির্দেশিকা।
ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া ডিয়ে (Dearness allowance) মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে এর বিরুদ্ধে হাইকোটে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার কিন্তু তা মাঠে মারা যায়, কারণ তা খারিজ করে দেয় তারা। রাজ্য সরকারি কর্মীরা বকেয়া ডিয়ে না পাওয়ায় বেশ কিছু রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন , আদালতে অবমাননার মামলা করে বসে।
সেই মামলার ভিত্তিতে হাইকোর্ট রাজ্যের অর্থ সচিব ও মুখ্য সচিব কে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেন। রাজ্যের তরফে হলফনামা পেশ করে জানানো হয়, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তারা এছাড়াও হাইকোর্টের কথামতো এক্ষুনি সমস্ত ডিয়ে (Dearness allowance) মেটাতে গেলে ভয়াবহ আর্থিক বিপত্তি নেমে আসতে পারে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারে।
এবং সেটি এতটাই বিপদজনক রূপ ধারন গড়বে যা কল্পনাও করা যাচ্ছেনা বলে দাবি রাজ্য সরকারের। অন্য অন্য রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে বর্ধিত ডিয়ের (Dearness allowance) সুবিধা পেলেও পাচ্ছে না শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু এখন প্রশ্ন একটাই, এই রাজ্যের রাজ্য সরকারের কর্মীদের ভবিষ্যৎ কি?
প্রতিবেশী রাজ্যের রাজ্য সরকার গুলি যখন ডিয়ে (Dearness allowance) বাড়িয়ে তাদের কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুধুমাত্র আর্থিক সংকটের কথা বলে সরে দাঁড়াচ্ছে। তবে আদালতের চাপ থাকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্যের প্রভাব, বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের পথে নামা রাজ্য সরকারকে আগামীতে তীব্র অস্বস্তির মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর সম্পর্কিত অন্যান্য খবরের আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Soham Senapati.