Hasir Alo Scheme 2024 – সারা রাজ্যের মানুষের জন্য বহু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এই সকল প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে সবুজ সাথী, খাদ্য সাথী, সহ আরো কত কি।
রাজ্যের মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন বর্তমানে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প আনা হয়েছে। এই প্রকল্পের বিষয় হয়তো অনেকেই জানেন না।
এবার রাজ্যের সাধারণ মানুষদের জন্য এক বড়সড়ো প্রকল্প নিয়ে এল রাজ্য সরকার। বিদ্যুৎ বিলের উপর ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। প্রায় চার বছর ধরে এই প্রকল্প প্রচলিত রয়েছে এই রাজ্যে। তাতেই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বাসিন্দারা উপকৃত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
Hasir Alo Scheme 2024 – তিন মাসে প্রায় বিদ্যুৎ বলে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় প্যান উপভক্তারা। এবার হয়তো ভাবছেন এই প্রকল্পের নাম কি? বিদ্যুৎ বিল ছাড় দেওয়ার এই দারুন প্রকল্পের নাম হলো হাসির আলো। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২০ সালে এই প্রকল্প চালু করে। শুধুমাত্র এই রাজ্যের বাসিন্দারা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন।
তিন মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। হিসেব করলে দেখা যাবে এই ৭৫ ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রায় ৩০০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দেওয়ার এই সুবর্ণ সুযোগ কারা পাবেন জানেন? যে সকল পরিবারে ০.৩ কিলোওয়াট এর ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে একমাত্র তারাই এই সুযোগ পাবেন। এই গ্রাহকদের জন্য প্রতি মাসে ২৫ ইউনিট অর্থাৎ তিন মাসের ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়।
স্কুলে এবার ফ্রি WIFI ইন্টারনেট পরিষেবা! কোন কাজে ব্যবহার হবে এই ইন্টারনেট?
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় এলে বিদ্যুতের জন্য সেভাবে টাকা খরচা করতে হবে না। তবে তিন মাসের বিদ্যুতের খরচ যাতে ৭৫ ইউনিটের বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মূলত যারা অন্তদ্বয় অন্য যোজনা অর্থাৎ বিপিএল তালিকাভুক্ত একমাত্র তারাই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। রাজ্যের (Hasir Alo Scheme 2024) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ার সকল দরিদ্র অসহায় পরিবার গুলির জন্য বিদ্যুৎ বিলের বোঝা কিছুটা কমাতে এই প্রকল্প চালু করেছেন।
এই প্রকল্পের সুবিধা যদি আপনিও পেতে চান তাহলে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে নিকটবর্তী বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন। এছাড়া দুয়ারী সরকারের ক্যাম্পে গিয়েও নাম নথিভুক্ত করা যেতে পারে।