Free WIFI Services in School -রাজ্যের বিদ্যালয়ে গুলিতে একেবারে ফ্রিতে ওয়াইফাই ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলো সরকার। শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবস্থার প্রভাব সর্বজনবিদিত।
সেই কারণেই রাজ্যের বিদ্যালয়ে গুলিতে যাতে ইন্টারনেটের অভাবে পড়াশোনা করতে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রিতে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করার কথা জানানো হয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক বিদ্যালয় (Free WIFI Services in School) রয়েছে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। কিন্তু বিদ্যালয়ের এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলি ইন্টারনেট ছাড়া বা কম্পিউটার ছাড়া করা প্রাই অসম্ভব।
বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হোক কিংবা তাদের নথিপত্র অনলাইনে জমা করা এসব কাজের জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অভাবে অনেকে বিদ্যালয় বেশ সমস্যায় পরে।
বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবায় কি কি সুবিধা মিলবে? (Free WIFI Services in School)
১) ফ্রি ওয়াইফাই চালু করা হলে স্কুল ছুটি থাকলেও এবার অনলাইন ক্লাস করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। সেক্ষেত্রে আর কোন সমস্যা হবে না।
২) যে সকল বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট পরিষেবা নেই সেই সকল বিদ্যালয়ের সরকারি কাজকর্ম করতে আর কোন সমস্যা হবে না। কারণ সেখানে ফ্রি ওয়াইফাই দেওয়া হবে।
৩) অনলাইন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে (Free WIFI Services in School) প্রচুর অজানা বিষয়কে জানার আওতায় নিয়ে আসতে পারেন বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা।
৪) কম্পিউটার ল্যাবরেটরি থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। তাতে তাদের জ্ঞানের ভান্ডার বাড়বে।
৫) ইতিপূর্বে ইন্টারনেট ছাড়া বিদ্যালয়ে গুলিতে অফিশিয়াল কাজকর্ম করতে সমস্যায় পড়তে হতো ছাত্রছাত্রীদের। তবে এবার যেহেতু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দেবে তাতে আর অসুবিধা হবে না।
নারায়ণ ভান্ডার প্রকল্প নাম শুনেছেন? আবেদন করলেই ২০০০ প্রতিমাসে
বিদ্যালয় গুলোতে বিনামূল্যে WIFI পরিষেবা কতদিন দেওয়া হবে?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অফিসিয়াল কাজ করার জন্য বিদ্যালয় গুলিতে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়া হবে ৩৯ মাস বা তিন বছর তিন মাসের জন্য।
কতগুলি বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে Wifi পরিষেবা পাবে?
এক মাসের মধ্যে প্রায় ১৪,৫০০ টি সরকারি বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে Wifi পরিষেবা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, এরাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে Wifi পরিষেবা প্রদান করার এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে সকলেই। কারণ এতিবেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতদিন ধরে যে সকল কাজ করতে গিয়ে ইন্টারনেটের অভাব বোধ করলো স্কুলগুলো, আর সেটা হবে না। এমনকি অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান অর্জন আরোও সহজ হবে। তাই নিঃসন্দেহে সরকারের এই সিদ্ধান্ত খুবই উল্লেখযোগ্য।
৫০০ কিংবা ১০০ নয়, আরো বৃদ্ধি পেতে চলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে, কত টাকা করে মিলবে?